১৯৭০ সালের কথা। মেয়ের জন্য সুন্দর একটি পুতুল কিনলেন মা। মেয়ের নাম ডোনা। ডোনা পড়ে কলেজে। আর পুতুলের নাম অ্যানাবেল। পুতুল দেখেই ভীষণ খুশি হল ডোনা। ডোনার সঙ্গেই ওদের বাড়িতে থাকত এনজি। এনজিরও ভালো লাগল পুতুলটাকে। তখন কি কেউ জানত, এটা একটা ভয়ানক পুতুল?
পুতুলটা দেখতে একেবারেই সাধারণ।প্রথম দেখায় পুতুলটিকে অস্বাভাবিক কিছু মনে হয়নি। কিন্তু একদিন ডোনা খেয়াল করল পুতুলটি নিজ থেকেই নড়াচড়া করছে। প্রথম প্রথম এই নড়াচড়ার বিষয়টি খুব একটা চোখে পড়ত না। তবে বোঝা যেত পুতুলটা যেন জায়গা মতো নেই। তখন ডোনা ধরেই নিত হয়ত ওর রুমমেট এনজি পুতুলটাকে এদিক ওদিক করেছে। কিন্তু কয়েক সপ্তাহ পর পুতুলটি এক স্থান থেকে আরেক স্থানে যাচ্ছে! একেবারে জীবন্ত মানুষের মতো। দেখাও যাচ্ছে সেটা। ডোনার বন্ধু এনজি একবার বাড়িতে যাওয়ার আগে পুতুলটিকে ডোনার বিছানায় রেখে যায়। ফিরে এসে দেখে সেটি সোফার উপর। খবর নিয়ে জানা গেল ডোনাও সেসময় বাড়িতে ছিল না।
ডোনা আর এনজির আরেক বন্ধুর নাম লো। লো নামের ছেলেটি আবার পুতুলটিকে একেবারেই সহ্য করতে পারত না। প্রথম সন্দেহটা সেই করে। কেন যেন তার কেবলই মনে হত পুতুলটির মাঝে অস্বাভাবিক কিছু আছে। আর সেটা শুভ নয়, অশুভ। ডোনা ও এনজি- কেউই বিশ্বাস করত না লোর কথা। তাদের একটাই কথা, পুরো বিষয়টির একটি ব্যাখ্যা নিশ্চয়ই আছে। কিছুদিনের মধ্যে অ্যানাবেলের কাজকর্ম শুরু হয়ে গেল। ডোনাদের ঘরে পার্চমেন্ট কাগজের চিরকুট পাওয়া যেতে লাগল। যাতে লেখা থাকত ‘আমাদেরকে সাহায্য করো’ কিংবা ‘লো’কে সাহায্য করো’। অদ্ভুত বিষয়টা হচ্ছে ডোনা বা এনজি- কেউই পার্চমেন্ট কাগজ ব্যবহার করত না। একদিন বাড়ি ফিরে পুতুলটিকে বিছানার ওপর পায় ডোনা। পুতুলের হাত থেকে রক্তের মতো তরল বেরিয়ে আসছিল। নাহ্, আর বসে থাকা যায় না। রহস্য উদঘাটনে নামে ডোনা। এক বুড়োর কাছ থেকে জানতে পারে, ডোনাদের অ্যাপার্টমেন্টটা তৈরি হয় একটা মাঠের উপর। ওই মাঠে অ্যানাবেল হিগিনস নামের এক মেয়ের লাশ পড়ে থাকতে দেখা যায়। এরপর সবার ধারনা হয়ে গেল, অ্যানাবেলের আত্মা পুতুলের ওপর ভর করেছে। ভয় না পেয়ে ডোনা আর এনজি পুতুলটিকে ওদের ঘরেই রাখল। ওদিকে দুঃস্বপ্ন দেখতে শুরু করল লো। কেউ যেন তার মাথা ফাটিয়ে দিয়েছে। পুতুলটি তাকে গলা টিপে মেরে ফেলতে চাইছে। কিছুদিন পর বাইরে থেকে ফিরে লো আর এনজি ডোনার ঘরে কোনো একজনের শব্দ শুনতে পায়। আতঙ্কে জমে গেল দুজন। দরজা খুলে ঘরে ঢুকে ওরা দেখল পুতুলটি বিছানায় পড়ে আছে। আর লো পুতুলটির দিকে এগিয়ে যেতেই ওর মনে হচ্ছিল তার ঘাড় ভীষণ গরম হয়ে গেছে। কেউ যেন ওর ঘাড়ে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে। কিন্তু পিছনে তাকিয়ে কাউকে দেখতে পায় না। হঠাৎ বুকে প্রচণ্ড ব্যথা অনুভব করে সে। শার্ট খুলে বুকে বেশ কিছু নখের আঁচড়ের দাগ দেখতে পায়। ক্ষত হয়ে গেছে। তার দৃঢ় বিশ্বাস ছিল এসব পুতুল অ্যানাবেলেরই কাজ। দু’দিনের মধ্যে সে দাগগুলোও গায়েব হয়ে যায়। ওরা ছুটল পাদ্রীর কাছে।
তিনি জানালেন পুতুলের সঙ্গে ভূত নয়, রয়েছে অ্যানাবেলের অশুভ আত্মা। পিশাচ তাড়ানোর অনুষ্ঠানের আয়োজন করলেন পাদ্রী। অ্যানাবেলকে একটি বাক্সে ভরে হাইওয়ে ধরে নিয়ে যেতে লাগলেন এড আর লরেন। কিন্তু খানিক পরে গাড়ির ইঞ্জিন বিকল হয়ে গেল। কোনো রকমে এডের বাড়িতে নিয়ে আসা হল অ্যানাবেলকে। কিছুদিন শান্ত থাকার পর আবার উল্টোপাল্টা শুরু করল পুতুলটি। এক ঘরে রেখে এলে আরেক ঘরে চলে যেত। পুতুলটিকে আর ঘরে রাখা ঠিক হবে না। ওটাকে পাঠিয়ে দেয়া হলো মুডাসের ওয়ারেন অকাল্ট জাদুঘরে। এখনও সেখানেই আছে পুতুলটা। -
পুতুলটা দেখতে একেবারেই সাধারণ।প্রথম দেখায় পুতুলটিকে অস্বাভাবিক কিছু মনে হয়নি। কিন্তু একদিন ডোনা খেয়াল করল পুতুলটি নিজ থেকেই নড়াচড়া করছে। প্রথম প্রথম এই নড়াচড়ার বিষয়টি খুব একটা চোখে পড়ত না। তবে বোঝা যেত পুতুলটা যেন জায়গা মতো নেই। তখন ডোনা ধরেই নিত হয়ত ওর রুমমেট এনজি পুতুলটাকে এদিক ওদিক করেছে। কিন্তু কয়েক সপ্তাহ পর পুতুলটি এক স্থান থেকে আরেক স্থানে যাচ্ছে! একেবারে জীবন্ত মানুষের মতো। দেখাও যাচ্ছে সেটা। ডোনার বন্ধু এনজি একবার বাড়িতে যাওয়ার আগে পুতুলটিকে ডোনার বিছানায় রেখে যায়। ফিরে এসে দেখে সেটি সোফার উপর। খবর নিয়ে জানা গেল ডোনাও সেসময় বাড়িতে ছিল না।
ডোনা আর এনজির আরেক বন্ধুর নাম লো। লো নামের ছেলেটি আবার পুতুলটিকে একেবারেই সহ্য করতে পারত না। প্রথম সন্দেহটা সেই করে। কেন যেন তার কেবলই মনে হত পুতুলটির মাঝে অস্বাভাবিক কিছু আছে। আর সেটা শুভ নয়, অশুভ। ডোনা ও এনজি- কেউই বিশ্বাস করত না লোর কথা। তাদের একটাই কথা, পুরো বিষয়টির একটি ব্যাখ্যা নিশ্চয়ই আছে। কিছুদিনের মধ্যে অ্যানাবেলের কাজকর্ম শুরু হয়ে গেল। ডোনাদের ঘরে পার্চমেন্ট কাগজের চিরকুট পাওয়া যেতে লাগল। যাতে লেখা থাকত ‘আমাদেরকে সাহায্য করো’ কিংবা ‘লো’কে সাহায্য করো’। অদ্ভুত বিষয়টা হচ্ছে ডোনা বা এনজি- কেউই পার্চমেন্ট কাগজ ব্যবহার করত না। একদিন বাড়ি ফিরে পুতুলটিকে বিছানার ওপর পায় ডোনা। পুতুলের হাত থেকে রক্তের মতো তরল বেরিয়ে আসছিল। নাহ্, আর বসে থাকা যায় না। রহস্য উদঘাটনে নামে ডোনা। এক বুড়োর কাছ থেকে জানতে পারে, ডোনাদের অ্যাপার্টমেন্টটা তৈরি হয় একটা মাঠের উপর। ওই মাঠে অ্যানাবেল হিগিনস নামের এক মেয়ের লাশ পড়ে থাকতে দেখা যায়। এরপর সবার ধারনা হয়ে গেল, অ্যানাবেলের আত্মা পুতুলের ওপর ভর করেছে। ভয় না পেয়ে ডোনা আর এনজি পুতুলটিকে ওদের ঘরেই রাখল। ওদিকে দুঃস্বপ্ন দেখতে শুরু করল লো। কেউ যেন তার মাথা ফাটিয়ে দিয়েছে। পুতুলটি তাকে গলা টিপে মেরে ফেলতে চাইছে। কিছুদিন পর বাইরে থেকে ফিরে লো আর এনজি ডোনার ঘরে কোনো একজনের শব্দ শুনতে পায়। আতঙ্কে জমে গেল দুজন। দরজা খুলে ঘরে ঢুকে ওরা দেখল পুতুলটি বিছানায় পড়ে আছে। আর লো পুতুলটির দিকে এগিয়ে যেতেই ওর মনে হচ্ছিল তার ঘাড় ভীষণ গরম হয়ে গেছে। কেউ যেন ওর ঘাড়ে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে। কিন্তু পিছনে তাকিয়ে কাউকে দেখতে পায় না। হঠাৎ বুকে প্রচণ্ড ব্যথা অনুভব করে সে। শার্ট খুলে বুকে বেশ কিছু নখের আঁচড়ের দাগ দেখতে পায়। ক্ষত হয়ে গেছে। তার দৃঢ় বিশ্বাস ছিল এসব পুতুল অ্যানাবেলেরই কাজ। দু’দিনের মধ্যে সে দাগগুলোও গায়েব হয়ে যায়। ওরা ছুটল পাদ্রীর কাছে।
তিনি জানালেন পুতুলের সঙ্গে ভূত নয়, রয়েছে অ্যানাবেলের অশুভ আত্মা। পিশাচ তাড়ানোর অনুষ্ঠানের আয়োজন করলেন পাদ্রী। অ্যানাবেলকে একটি বাক্সে ভরে হাইওয়ে ধরে নিয়ে যেতে লাগলেন এড আর লরেন। কিন্তু খানিক পরে গাড়ির ইঞ্জিন বিকল হয়ে গেল। কোনো রকমে এডের বাড়িতে নিয়ে আসা হল অ্যানাবেলকে। কিছুদিন শান্ত থাকার পর আবার উল্টোপাল্টা শুরু করল পুতুলটি। এক ঘরে রেখে এলে আরেক ঘরে চলে যেত। পুতুলটিকে আর ঘরে রাখা ঠিক হবে না। ওটাকে পাঠিয়ে দেয়া হলো মুডাসের ওয়ারেন অকাল্ট জাদুঘরে। এখনও সেখানেই আছে পুতুলটা। -
0 Comment "পুতুল - The Doll"
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন